অনুপম মুখোপাধ্যায়





টি পুনরাধুনিক কবিতা



বাঁওড়

শিকারীর। হাড়ে কোনো
হায় হার থাকে না। ঘরে
ঢোকো। আলোটাকে
লক্ষ্য রেখে ঢোকো
বাঁওড়ের পাশে। কিছু
ডানা ফেলে রেখে
উড়ে গ্যাছে চিল
সাদা প্লেট। লাল দাগ
ওয়াইন

রেড ক্লিট্
। 



নির্বাচন অস্বীকার


কমলালেবুর ফুল। নরম
ছুঁড়ে দ্যায় আঃ
আমারই অসহায়। তা
ওখানে
পিয়ানোও
ভাড়া নেওয়া করা হচ্ছে
না-লেখার ফাঁকগুলো
ঘসে ঘসে ঘসে ঘসে
লাল লালচে করে দিচ্ছি

যা গরম
। 


নদী ও গ্লাভস্


নদীতে। ভেসে যাচ্ছে গ্লাভস্
সখী
ব্রহ্মপুত্র নদে। দ্যাখো
ভেঙে যাচ্ছে ফেনা
। 
সখী
নদীতে ভেসে যাচ্ছে
গ্লাভস্






5 comments:

  1. 'বাওরের পাশে কিছু/ ডানা রেখে/ উড়ে গেছে চিল' আসামান্য ! ইচ্ছে হচ্ছে আমি ওই ডানা সমস্ত কুড়িয়ে এনে এক মিউজিয়াম বানিয়ে নিই। ৩টি কবিতাকে নিয়ে এই সকালে ত্রিফলা পান হল। স্বাস্থ্যপান হল।

    ReplyDelete
  2. কমলালেবুর ফুল... দারুণ

    ReplyDelete
  3. প্রণাম শ্রীচরণেষু।

    ReplyDelete




  4. বাঁওর কবিতাটা আমার দুরন্ত লাগছে , কবিতাটা পাওয়ার হাউস হবার সম্ভাবনা রাখে- এমুহুর্তে আমাকে শক্তি সাপ্লাই করছে।
    বাংলা কবিতায় খুব কমজনের কাছে ওই পাওয়ার হাউসটা আমি দেখেছি ( আমার সীমিত পড়াশুনায় রবীন্দ্রনাথ , বিনয় আর দু চার জন বাদে)। হায় থেকে হার শব্দে তুমি গেলে? আর পুরো ইকুয়েশান বদলে গেল।

    পুরোটা পড়ার পর ভাবছি কে হারল শিকারী না চিল? চিল তো আবার নিজেও শিকারী ,তাকে কিছু ডানা খোয়াতে হল বটে কিন্তু সে তো হার স্বীকার তো করল না। আর শিকারীর হাড়ে তো আবার হার থাকে না । আসলে কেউ হারল না। লড়ে গেল।

    জীবনবাবু কে স্লাইড ঠুকলে কি? হায় , চিল সব জীবনবাবুর শব্দ । এবার তুমি হায় কে কেটে হাড়ে ঢুকলে আর জীবনবাবু স্যাটকরে ছিটকে গেল। আর আমার ঘিলুতে সেঁধিয়ে গেল-

    " শিকারীর। হাড়ে কোনো
    হার থাকে না "

    এলাইন সকালে ঘুম থেকে উঠে মনে মনে একবার বলে নিলে লড়াইয়ের শক্তি পাওয়া যাবে।

    ReplyDelete